ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৯টি ছাত্রসংগঠনের নেতারা এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘জিরো টলারেন্স টু আওয়ামী লীগ’। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন না করার বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠন একমত হয়েছে।
গৃহীত চারটি সিদ্ধান্ত:
১. ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণা: মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংহতির বার্তা পৌঁছানো হবে।
২. সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি: গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে নির্বাচিতদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
৩. প্রশাসন সংস্কার: প্রশাসনের কাঠামো থেকে আওয়ামীপন্থী নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্রুত অপসারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৪. একতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় সংহতি জোরদারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ আরও ১৯টি সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে ছাত্ররাজনীতির কাঠামো এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী আলোচনার কথা জানানো হয়েছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের রক্ষার নামে দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে আসছে। শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।