এক অভাবনীয় ঘটনায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১৪৫ জন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং অভিযুক্তরা নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, যা পরস্পরবিরোধী।এ
কজন ব্যাংক কর্মকর্তা, যিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন, তার কাছে নাম তালিকায় না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বাবার সনদ চাকরি পাওয়ার পরে তৈরি হয়েছে। কিন্তু উপজেলা তালিকায় নাম না থাকার প্রশ্নে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
অপর এক কর্মকর্তা, ইমতিয়াজ হায়াত খান, বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাইনি। আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা নন।” তবে ব্যাংকের তালিকায় তার নাম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, “এটা সম্ভব নয়, ব্যাংক হয়তো ভুল করেছে।”
এ প্রসঙ্গে কর্মসংস্থান ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এস.এম. ইমাম মাসুম বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল, যা আমরা পাঠিয়েছি। ভুয়া সনদের মাধ্যমে কেউ চাকরি পেয়েছেন কি না, তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
তবে ১৪৫ জন কীভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পেলেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি কেউ। উপ-মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, “আমি এই ব্যাংকে যোগদান করেছি মাত্র এক বছর আগে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় কীভাবে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
এই ঘটনা একটি গুরুতর অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়, যা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নই করছে না, বরং দেশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।