ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাঈদ খোকন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে কোম্পানিকে নিজের কর্তৃত্বে পরিণত করেছেন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এমনকি, তিনি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানের পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেই ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর দীর্ঘ ১২ বছর নির্বাচন ছাড়াই বেআইনিভাবে এ পদে বহাল থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম চালিয়ে যান।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সাঈদ খোকন তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, বোন, শ্যালিকা, ভগ্নিপতি ও আরও দুই নিকট আত্মীয়সহ মোট আটজনকে নিয়োগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কেবল নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েই কোম্পানির ওপর তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাদের দ্বারা রেজ্যুলেশন তৈরি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া, সাঈদ খোকন কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সভায় অংশ না নিয়েও সভার ফি গ্রহণ করেছেন। এমনকি তিনি নিজের মালিকানাধীন ভবনে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্তও এককভাবে নিয়েছেন।
এ অভিযোগের ফলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠে, যা তদন্তের জন্য দুদকের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছে। তবে, সাঈদ খোকন বর্তমানে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ২০০০ সালে নিবন্ধিত একটি সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল এবং ২০০৯ সালে এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তবে সাঈদ খোকনের চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি নানা বিতর্কের মুখে পড়ে।