বেঙ্গালুরুতে দিল্লি পুলিশের হাতে মানবাধিকার কর্মী নাদিম খানকে আটক করার ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সকালে কোনো আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই নাদিম খানকে তার বাসা থেকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এই ঘটনা আইনি প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগকে সামনে নিয়ে এসেছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নাদিম খান সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করেন। তার আইনজীবীর দাবি, আটকের সময় পুলিশ কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট দেখায়নি। আটকের সঠিক কারণও ব্যাখ্যা করেনি। নাদিম খানকে বিভিন্ন নাগরিক অধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়নি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ২০টিরও বেশি নাগরিক সমাজ সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে এটিকে ‘আইনবহির্ভূত পদক্ষেপ’ এবং ‘মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ আইনের শাসনের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং দেশের নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।’
মুক্তির পর নাদিম খান এক বিবৃতিতে তার অভিজ্ঞতাকে ‘ভীতিকর’হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু আমার বিষয় নয়, বরং আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানবাধিকারের সংকুচিত পরিসর নিয়ে একটি গভীর সংকেত দেয়।’
এদিকে দিল্লি পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি করেছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজে প্রশ্ন উঠছে—আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার কি ক্রমশ মুখ থুবড়ে পড়ছে ?
সূত্র : মুসলিম মিরর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link