নিউজনেস্ট

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘মধ্যপ্রাচ্যে নরক জ্বলবে’

হামাসকে বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
হামাসকে বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি। ছবি: টিআরটি অ্যারাবিক

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার গাজার বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ২০ জানুয়ারি ২০২৫— তার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘গাজার বন্দিদের আটক রাখার বিষয়টি পুরো বিশ্ববাসীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। সবাই এ নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এটি কেবল কথার খেলায় সীমাবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ২০ জানুয়ারির মধ্যে বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে এমন এক নরক জ্বলবে, যার মূল্য সবাইকে দিতে হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে এমন প্রতিশোধ নেওয়া হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসেও আগে দেখা যায়নি।’

ইসরায়েলের দাবি, গাজায় প্রায় ১০১ জন বন্দি রয়েছে। এদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রবিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’আর বলেন, বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে অগ্রগতি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগও জানিয়েছেন, ‘গোপনে আলোচনা চলছে।’

তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অযৌক্তিক শর্ত আরোপের কারণে আলোচনা বারবার ব্যাহত হচ্ছে। নেতানিয়াহু গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্তে ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ এবং রাফাহ ক্রসিং পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রবেশ বন্ধে কঠোর তল্লাশির শর্তও আরোপ করেছেন।

অন্যদিকে হামাসের দাবি, ইসরায়েলকে গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যুদ্ধে সম্পূর্ণ বিরতি আনতে হবে। হামাস আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলাতেই তাদের হাতে আটক বহু জিম্মি ইতোমধ্যে মারা গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের কারণে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আমেরিকারে স্পষ্ট মদদে পরিচালিত এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়া ১১ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

গাজায় এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের ফলে খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে বহু শিশু ও বৃদ্ধ শহিদ হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তার অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত