ইসরায়েলি নৌবাহিনী সিরিয়ার লাতাকিয়া ও আল বাইদা বন্দরে অবস্থান করা সিরীয় নৌবহর ধ্বংস করেছে। সোমবার রাতে এই অভিযান চালানো হয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের পতনের পর এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজগুলো এই অভিযান পরিচালনা করে। এতে সিরীয় নৌবাহিনীর বহু জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে, যেগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বসানো ছিল।
সম্প্রত গত দুই দিনে সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, বাশার আল আসাদের সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ভেতরে ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক ঘাঁটি, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
গত রোববার ইসরায়েল ঘোষণা করে, ১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত সামরিক বিচ্ছিন্নতার চুক্তি আর কার্যকর নেই। ইসরায়েলি সেনারা এখন সিরিয়ার গোলান মালভূমির নিরস্ত্র অঞ্চলে রয়েছে, যা ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে।
এর মধ্যেই গত রোববার ভোরে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। সরকারি বাহিনী পিছু হটলে ৬১ বছরের রক্তাক্ত বাথ পার্টি শাসন ও আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিদ্রোহীরা প্রথমে আলেপ্পো ও ইদলিব দখল করে। এরপর হামা, দারা, সুওয়াইদা ও হিমসের মতো শহর একে একে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি