ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত বাংলাদেশিদের ভ্রমণসহ অন্যান্য ভিসা বন্ধ রেখেছে। গত ৫ই আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশটির ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ও জরুরি কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হলেও ভ্রমণ ভিসা ইস্যু এখনো বন্ধ।
ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা বন্ধের কারণ হিসেবে লোকবল সংকট ও নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বিশ্লেষকরা এটিকে কূটনৈতিক চাপ হিসেবে দেখছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে অন্য কোন বিদেশি দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভিসা ইস্যুতে উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের আলোচনার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। একতরফা উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানায়, ঢাকায় তাদের ভিসা আবেদনকেন্দ্রটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রগুলোর একটি। এখান থেকে দৈনিক প্রায় পাঁচ হাজার ভিসা ইস্যু করা হত। বছরে প্রায় ১৫-১৬ লাখ বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ভারতে যেতেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকার পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, দূতাবাসের লোকবল সংকট কেটে গেলে ভিসা কার্যক্রম চালু হবে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি ভারত।
নিউজনেস্ট ডেস্ক
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link