নিউজনেস্ট

বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের বাজার হারাচ্ছে ভারত, মহা উদ্বেগে দিল্লি!

বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের বাজার হারাচ্ছে ভারত, মহা উদ্বেগে দিল্লি!
বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের বাজার হারাচ্ছে ভারত, মহা উদ্বেগে দিল্লি! ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ(!) সম্পর্কের ওপর নির্ভর করেই ভারত থেকে বাংলাদেশ তার আলু ও পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করে এসেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে দেখা দেওয়া টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশ বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকছে। এই পরিবর্তন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে!

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি স্বাক্ষর করেছে। এবার দেশটি আলু ও পেঁয়াজের জন্য পাকিস্তান, তুরস্ক এবং চীনের মতো দেশগুলোকে বিকল্প সরবরাহকারী হিসেবে বিবেচনা করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আমদানি বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) এ বিষয়ে বেশ কিছু সম্ভাব্য বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে। এগুলো নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লিতে! একসময় বাংলাদেশের আলু ও পেঁয়াজের প্রধান সরবরাহকারী ছিল ভারত। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে সম্পর্কের অবনতির প্রভাব পড়ছে বাণিজ্যেও।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খাদ্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। তবে এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে। তাছাড়া পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়ালে তা ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বাজার চাহিদা মেটানোর জন্য সাশ্রয়ী এবং স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি উৎস বৈচিত্র্যকরণ খুবই জরুরি।

বাংলাদেশের এই নীতিগত পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তা এখন দেখার বিষয়। তবে এটা নিশ্চিত যে, ভারতের জন্য বাংলাদেশের বাজার ধরে রাখা এখন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।

নিউজনেস্ট ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত