উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় ১৮৫ বছরের পুরোনো নূরী জামে মসজিদের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের দাবি, এই অংশটি বেআইনিভাবে বান্দা-বাহরাইচ হাইওয়ের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল!
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) গত ১৭ই আগস্ট মসজিদ কমিটিকে অবৈধ নির্মাণ সরানোর নোটিশ দিয়েছিল। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মসজিদের অংশটি সরানো হয়নি। ফলে গণপূর্ত বিভাগ বাধ্য হয়ে এই অংশটি ভেঙে দেয়।
জেলা প্রশাসকের মিথ্যা দাবী
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অবিনাশ ত্রিপাঠি দাবি করেন, ভাঙা অংশটি আসলে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে মসজিদ কমিটি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিষয়টি সুরাহার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছে।
এদিকে মসজিদ কমিটির দাবি, তারা আদালতে আবেদন করলেও শুনানি শুরু হওয়ার আগেই প্রশাসন ভাঙার কাজ শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে বুলডোজার-জাস্টিস!
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এর আগে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও স্থাপনা ভাঙা যাবে না। কিন্তু উত্তরপ্রদেশসহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ‘বুলডোজার-জাস্টিস’ হিসেবে পরিচিত এই পদ্ধতিতে সরকারি নির্দেশে স্থাপনা ভাঙার ঘটনা বাড়ছে।
মুঘল আমলের মসজিদ ঘিরে উত্তেজনা
এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের সামভাল এলাকায় মুঘল আমলের শাহী জামা মসজিদকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা উত্তেজনা বাড়িয়েছে। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, মসজিদটি প্রাচীন একটি মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল। এই নিয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং বহু আহত হয়েছেন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নিউজনেস্ট ডেস্ক
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link