করোনা মহামারী ও বৈশ্বিক মন্দার ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় যায়নি। বরং ধীরগতিতে হলেও উন্নতির ধারা বজায় রেখেছে। সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৪৩০ ডলার, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮৬০ ডলারে। এ সময়ে আয় বেড়েছে ৫৬৫ শতাংশ। ভারতের মাথাপিছু আয় একই সময়ে ৪৪০ ডলার থেকে বেড়ে ২,৫৪০ ডলার (৪৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি)। পাকিস্তানের আয় ৪৭০ ডলার থেকে ১,৫০০ ডলারে উঠলেও বৃদ্ধি মাত্র ২১৯ শতাংশ।
অন্য দেশগুলোর তুলনায়ও বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। ভুটানের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৭২০ ডলার থেকে ৩,৭৪০ ডলারে (৪১৯ শতাংশ বৃদ্ধি)। নেপালের আয় ২২০ ডলার থেকে ১,৩৭০ ডলার (৫২৩ শতাংশ বৃদ্ধি)। মায়ানমার ১৯০ ডলার থেকে ১,২১০ ডলারে (৫৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি)।
করোনা মহামারীর সময় প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি থাকলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশে নেমে আসে। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে এটি ৩.৪ শতাংশে কমে যায়। পরবর্তী দুই বছরে ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ৭.১ শতাংশে উন্নীত হলেও সাম্প্রতিক অর্থবছরে আবার ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নামার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০০০ সালে নিম্ন আয়ের তালিকায় থাকা ৬৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৩৯টি দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১,১৪৫ ডলারের ওপরে, যা মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে গণ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ই জানুয়ারি প্রকাশিতব্য বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্টে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।







