তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সাধারণ তাবলীগ জামাতের সাথীদের উপর সাদ পন্থী এতাতী সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। উক্ত হামলার ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে এবং শতাধিক সাথী আহত হয়েছেন। গতরাত ৩টায় হকপন্থী তাবলিগের সাথীদের ওপর অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়।
সাদ পন্থী এতাতীরা পূর্ব নির্ধারিত তারিখে মাঠ দখলের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংস রূপ ধারণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাদ পন্থী এতাতীরা মাঠের পশ্চিম পাশের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ইট-পাথর ছুড়ে সাধারণ সাথীদের ওপর আঘাত করে। এতে মাঠে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর সাদ পন্থীদের হামলায় তাবলিগ জামাতের হাজারো সাথী আহত হয়েছিলেন। সেই সময়ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও হামলার শিকার সাধারণ সাথীরা ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত।
হামলার পর সাদ পন্থীরা দাবি করছে, তারা নাকি রাতের বেলা মাঠ খালি পেয়ে প্রবেশ করেছে এবং তাবলিগের সাথীরা নিজেরাই নিজেদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। এমনকি নিহত ব্যক্তিকেও সাদ পন্থী সাথী হিসেবে প্রচার করছে তারা। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং পরিস্থিতিকে আড়াল করার অপচেষ্টা বলে অভিযোগ করছেন হকপন্থী তাবলিগ সাথীরা।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় একজন সাথী নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে রাতের অন্ধকারে সাদ পন্থীদের অতর্কিত হামলায় নিহত, আহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণে আজ বেলা ১১টায় কাকরাইল মসজিদে এক বিশেষ ওলামা সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। এই সম্মেলনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এত বড় সহিংস হামলার পরও সাদ পন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সাধারণ তাবলিগ সাথীরা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা দাবি করেছেন, আগের ঘটনাগুলোর মতো এবারও যদি বিচার না হয়, তবে এটা ন্যায়বিচারের ওপর বড় আঘাত হবে।







