সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্যকে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ডিফেন্ড করে চলতি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টাইগাররা। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দলের সর্বনিম্ন রানের জয়।
শামীম হোসেনের ১৭ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ১২৯ রানের সংগ্রহ গড়ে। এরপর বোলাররা দায়িত্ব নিয়ে প্রতিপক্ষকে ১০২ রানে আটকে ফেলে। তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট নেন। আর মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান নেন দুটি করে উইকেট।
তাসকিন আহমেদ ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ব্র্যান্ডন কিংকে ৮ রানে আউট করে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন। একই ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচারকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। এরপর মেহেদী হাসান নিজের দ্বিতীয় ওভারে জনসন চার্লসকে এলবিডব্লিউ করেন। পরের ওভারে তিনি নিকোলাস পুরানকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল ভরসা রোভম্যান পাওয়েল এবার সুবিধা করতে পারেননি। হাসান মাহমুদের বলে মেহেদী হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে তিনি ৯ রানেই আউট হন। এরপর তানজিম হাসানের একটি শর্ট বলে রোমারিও শেফার্ড স্লিপে ক্যাচ দেন। ফলে ৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রোস্টন চেজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ভরসা হয়ে লড়ে যান। ১৬তম ওভারে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জন্য চেষ্টা চালান। তাকে সমর্থন দেন আকিল হোসেইন। তবে শেষের ওভারগুলোতে প্রায় ১২ রান করে প্রয়োজন থাকায় চেজের প্রচেষ্টা যথেষ্ট হয়নি।
বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল সৌম্য সরকারের হাতে চোট নিয়ে। একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তবে সেটি বাদে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল নিখুঁত।
এই জয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে এবং বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্স আবারও প্রমাণ করেছে দলীয় প্রয়াসের শক্তি।







