আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৭১ জন জঙ্গিকে হত্যা করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা সূত্র বলছে, টার্গেটকৃত এই হামলায় জঙ্গিদের চারটি প্রধান আস্তানা ধ্বংস হয়েছে, যেখানে সুইসাইড ভেস্ট তৈরির অবকাঠামো ও উমর মিডিয়া সেল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, নিহতদের মধ্যে শের জামান ওরফে মুখলিশ ইয়ার, আখতার মুহাম্মদ ওরফে খলিল, ইজহার ওরফে হামজা এবং শোয়েব চিমার মতো গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডারও রয়েছেন।
পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। আফগান তালেবান বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তাদের মাটি থেকে পাকিস্তানে হামলা বন্ধ করেনি। পাকিস্তান সবশেষ জঙ্গি ধ্বংস না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে।”
নিরাপত্তা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানে ফিতনা আল-খাওয়ারিজের চারটি প্রধান কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে।
এই কেন্দ্রগুলো শুধুমাত্র এই খাওয়ারিজিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবেই কাজ করেনি বরং তাদের প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্যও এগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
পাকিস্তান মনে করছে, এ হামলা জঙ্গিদের প্রতি একটি শক্ত বার্তা পাঠিয়েছে। তবে নিরাপত্তা সূত্র বলছে, লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমরা জঙ্গিদের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত ধাওয়া করব।
তবে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, পাকিস্তান এমন মিথ্যা দাবি করে তাদের দোষ গোপন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারা জনমনে আফগানিস্তানের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরীর অপচেষ্টা করছে। কেননা তাদের নৃশংস বিমান হামলায় অনেক নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন।