ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, টানা সাতটি লেনদেনে রুপির দর কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর প্রতি ডলারের বিনিময়ে রুপির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৫.২৪২৫, যা রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পুঁজি দেশের বাইরে পাচার এবং বাণিজ্য ঘাটতির কারণে রুপির এমন দরপতন ঘটে। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারা এবং বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ প্রত্যাহার পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানও রুপির দরপতনে বড় ভূমিকা রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পর ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং বন্ডের উচ্চ মুনাফা রুপির দুর্বলতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি গত বছরের তুলনায় ১৮.৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ প্রত্যাহার পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ডলার এবং লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতির কারণে রুপির উপর চাপ অব্যাহত থাকবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি ডলারের বিনিময়ে রুপির দাম ৮৬-এ পৌঁছাতে পারে।
ভারতীয় অর্থনীতি চাপে থাকলেও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছে। তবে বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।







