জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে দেশের জন্য এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে সাধারণ আলেম সমাজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ অভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড ও তাদের সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর।
আলেম সমাজের দাবি, গণঅভ্যুত্থানের পর ৭ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহে সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা ও বিপ্লবের চেতনাকে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই প্রতিবিপ্লবের ফলে কেবল সরকারের কাঠামো পরিবর্তিত হয়নি, বরং এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনায় আঘাত করেছে। গণঅভ্যুত্থানকে প্রকৃত অর্থে ‘বিপ্লব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবকে ভাঙতে হবে।’
আলেম সমাজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন।
১. দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ থাকতে হবে। সাংবিধানিক পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ যেন কোনোভাবেই পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থার প্রভাবমুক্ত না থাকে।
২. সংবিধান পুনর্গঠন: বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পুনর্গঠন করা জরুরি।
৩. বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা: সাংবিধানিক ভিত্তি রক্ষায় বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখা আবশ্যক। আদালতকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৪. নৈতিক শাসনব্যবস্থা: শাসনতন্ত্রে ন্যায়বিচার, সাম্য এবং নৈতিকতার প্রাধান্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
আলেম সমাজের ভাষ্যে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি দীর্ঘ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ এবং রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। এই বিপ্লবের প্রকৃত চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
তারা বলেন, ‘আল্লাহর পথে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠিত হলে তবেই আমাদের অভ্যুত্থান সফল হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সংবিধান পুনর্গঠন করতে হবে।’
আলেম সমাজ দেশের শান্তি, ন্যায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আল্লাহর নিকট দেশের কল্যাণ কামনা করেছেন।
নিউজনেস্ট ডেস্ক
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link
- নিউজনেস্ট ডেস্ক#molongui-disabled-link