ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে, জানুয়ারি মাসে পশ্চিম তীরের তিনটি এলাকায় চালানো অভিযানে তাদের হাতে ৫৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কিছু ফিলিস্তিনি ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের হত্যা-সংক্রান্ত হামলায় জড়িত ছিলেন এবং কিছু হামলার পরিকল্পনা করছিলেন’। সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা জেনিন, তুলকারেম ও তুবাসে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে প্রথমবারের মতো ‘ইতান’ নামের সাঁজোয়া যান ব্যবহার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা বরাবরই সন্ত্রাস দমন অভিযান চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বছরের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই জেনিনের বাসিন্দা।
২১ জানুয়ারি ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন ও এর শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান চালায়। এতে ২৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন। ২৭ জানুয়ারি তুলকারেমে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করে দখলদার সেনাবাহিনী। এছাড়া গত রোববার তুবাসের তামুন ও ফারাআ শরণার্থী শিবিরে নতুন করে তাদের অভিযান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় পশ্চিম তীরে ৯০৫ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার জন, আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ জন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি







