বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় এক বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। হত্যার পর তার লাশ ভারতের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম বারিকুল ইসলাম (৩৬)। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের নামোজগনাথপুর স্কুলছাম গ্রামের বাসিন্দা। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় কৃষি জমিতে সেচ দিতে যান বারিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক। আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রায় ২৫০ গজ ভেতরে কাজ করার সময় ভারতীয় মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার বাজিতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
কৃষকদের বেশিরভাগই পালিয়ে এলেও বারিকুল ইসলাম বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে আটক করে নির্যাতন চালানো হয় এবং একপর্যায়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে একটি নদীর তীরে বালুর ওপরে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নিহতের ভাই সুমন আলী জানান, তার ভাই মাঠে কাজ করছিলেন, তখনই বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন, তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন পরিবারের একমাত্র চাওয়া, লাশটি যেন দ্রুত দেশে ফেরত আনা হয়।
এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেছেন, আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, দুই দেশের সীমান্তে প্রায়ই এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে এবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কৃষককে হত্যা করার বিষয়টি নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।