সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি (এএ) সম্প্রতি মংডুয়ের উত্তরের গুনাহ হ্যামলেট থেকে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়েছে। গুলি এবং প্রাণনাশের হুমকির মুখে তাদের গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৬টার মধ্যে তাদের গ্রাম ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু গ্রামবাসী সঙ্গে সঙ্গেই চলে যায়, তবে যারা রয়ে গিয়েছিল তাদের পরবর্তীতে গুলির মুখে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
একজন গ্রামবাসী বলেন, ‘সন্ত্রাসী এএ আমাদের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৬টার মধ্যে গ্রাম ত্যাগ করতে বলেছিল। যারা তৎক্ষণাৎ চলে যায়, তারা নিরাপদ ছিল। তবে যারা রয়ে গিয়েছিল তাদের গুলি করে বের করে দেওয়া হয়।’
সন্ত্রাসী এএ সদস্যরা গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়ে বলে, যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাম ত্যাগ করবে না, তাদের গুলি করে হত্যা করা হবে।
আরেক গ্রামবাসী বলেন, ‘গত সপ্তাহে কিছু এএ সদস্য আমাদের গ্রামে এসে গ্রাম ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তারা কোনো কারণ জানায়নি। বেশিরভাগ গ্রামবাসী আশেপাশের ধানখেতে পালিয়ে যায়, তবে কিছু লোক স্থির ছিল। পরে অন্য একটি দল এসে তাদের গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে’ ।
একটি সূত্র জানায়, গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে ১ ফেব্রুয়ারি চলে গেছে। তাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না, নিজেদের জীবন বাঁচাতে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
এছাড়া কিছু গ্রামবাসী এখন বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা এ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পারে।
গুনাহ হ্যামলেট নামক গ্রামটিতে ছিল ৭৩টি পরিবার এবং প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা বাসিন্দার আবাসস্থল। ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার মধ্যে পুরো গ্রামটি আরাকান আর্মি জোরপূর্বক খালি করে দেয়।
এটি রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন দুঃখজনক অধ্যায়। তারা আবারো শরণার্থীর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে, আর এরই মাধ্যমে তাদের উপর সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি এবং নিপীড়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি।
সূত্র: রোহিঙ্গা ভিশন