ভারতীয় অধিকৃত কাশ্মিরে জামাত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর লেখা এবং তাঁকে নিয়ে লেখা ৬০০টির বেশি বই জব্দ করেছে ভারতীয় পুলিশ। নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের আদর্শ প্রচারের অভিযোগে শ্রীনগরে এই বইগুলো জব্দ করা হয়।
ভারতীয় পুলিশ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে গোপনে বই বিক্রি ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীনগরে তল্লাশি চালানো হয়। এতে ৬৬৮টি বই জব্দ করা হয়েছে।’
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’র ১২৬ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ধারার অধীনে জনশান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, শ্রীনগরের কয়েকটি বড় বইয়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে মওদুদীর লেখা এবং জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিন্তাবিদদের বই জব্দ করা হয়েছে।
ভারত সরকার ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মিরে জামাত-ই-ইসলামিকে ‘বেআইনি সংগঠন’ ঘোষণা করে। ওই বছরের আগস্টে অঞ্চলটির বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর সংগঠনটির বহু নেতা ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়।
যদিও সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচনে জামাত-ই-ইসলামির কয়েকজন সদস্য প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন—যা অতীতে সংগঠনটি সমর্থন করত না—তবু সরকার তাদের প্রতি কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখায়নি।
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কাশ্মিরে ভারতবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল জামাত-ই-ইসলামি। তবে ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে সংগঠনটি জাতিসংঘের প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাশ্মির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেয়।