কথিত জঙ্গি নাটকের অংশ হিসেবে এক ব্যক্তিকে আটক করতে এসে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে স্ত্রীকে মুক্ত করার শর্তে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করছিল আরও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।
তৎকালীন র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার আলেপ উদ্দীন একাধিকবার ওই নারীর স্বামীকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী, ২৭তম রমজানে, সম্ভাব্য পবিত্র শবে কদরের রাতে, রোজা ভাঙিয়ে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়। এর আগেও তিনবার তাকে একইভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
এই নির্যাতনের চূড়ান্ত ধাক্কায় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং কিছুদিন পর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর।
স্বামী যখন এই অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বারবার র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দীনকে ফোন করেন। তবে প্রতিক্রিয়ায় তিনি পান একটি চরম অমানবিক উত্তর—
বন্দি নারী বা আটক ব্যক্তিদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।







