আসামের বিভিন্ন বন্দি শিবিরে আটক ৬৩ জন মুসলিম নাগরিককে বাংলাদেশি দাবি করেছে রাজ্য সরকার। তবে তাদের পরিবার এসব অভিযোগ নাকচ করে বলছে, তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় এবং তাদের দীর্ঘদিনের বাসস্থান আসামেই। আদালতে জমা দেওয়া এক হলফনামায় আসাম সরকার জানিয়েছে, এসব বন্দি বাংলাদেশি নাগরিক। আদালত এরপর প্রশ্ন তোলে, যদি তারা সত্যিই বাংলাদেশি হন, তাহলে এখনো কেন তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি? জবাবে রাজ্য সরকার জানায়, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের ঠিকানা প্রকাশ করেননি।
আটক ব্যক্তিরা আসামের গোয়ালপাড়া জেলার মতিয়া বন্দি শিবিরে রয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জন ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে নিজেদের দেশত্যাগের আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। স্ক্রোল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২৭ জন বন্দিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে, তারা ভোটার তালিকা ও লিগ্যাসি ডাটাবেসে (যা তাদের ভারতীয় পরিচয় নিশ্চিত করে) অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এমনকি ছয়জন ২০১৯ সালের সংশোধিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তালিকায়ও নাম পেয়েছিলেন।
এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাদের পরিবার। তাদের দাবি, যদি তারা সত্যিই বাংলাদেশি হতেন, তাহলে একাধিকবার নথিপত্র যাচাইয়ের পরও কীভাবে এনআরসিতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হলো? অন্য অনেক পরিবারও বলছে, তাদের কাছে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের যথেষ্ট নথি রয়েছে, যেখানে তাদের মা-বাবার নাম ভোটার তালিকা ও এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বন্দিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবীণ নাগরিকও রয়েছেন। তাদের পরিবারগুলো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নিয়োগ করা আইনজীবীরা তেমন কিছু করতে পারেননি। অন্যদিকে, অনেক পরিবার অর্থাভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতেও পারছে না।
সূত্র : এমএম







