সাইবার ট্রাইব্যুনাল আজও শাতিম রাখাল রাহার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেনি। আইনজীবীরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও আদালতের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অজুহাতের সম্মুখীন হন।
সকালে বাদী দুইজন আইনজীবীর সঙ্গে সাইবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে মামলার নথি জমা দিতে গেলে নথি কর্মকর্তা জানান, বৈষম্য বিরোধী সংগঠনের কেউ বাদী হলে মামলা নিতে পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) অনুমোদন প্রয়োজন।
পিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘হবে না!’ আইনজীবীরা তখন বাদীর পরিচয় পরিবর্তনের প্রস্তাব দিলে নথি কর্মকর্তা জানান, পিপির অনুমোদন ছাড়া তা সম্ভব নয়। এরপর পিপি বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
চলমান একটি মামলার শুনানি শেষে আইনজীবীরা বিচারকের সামনে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেন। বিচারক ফাইল হাতে নিয়ে বলেন, ‘বাদী চট্টগ্রামের, মামলা এখানে হবে না।’
আইনজীবীরা বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যু বলে ব্যাখ্যা করলেও বিচারক বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধীদের মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন উপদেষ্টার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’ এরপর আইনজীবীরা আরও ব্যাখ্যা দিতে গেলে বিচারক তাদের থামিয়ে দেন এবং অনাগ্রহের ভঙ্গিতে ফাইল ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হবে না, হবে না! চট্টগ্রাম যান।’
এরপর আদালত ত্যাগের আগে বাদী জানতে পারেন, মামলার প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার মোবাইল ফোন কোর্টে জমা রাখতে হবে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটি ফেরত দেওয়া হবে না।
তবে বাদী ও আইনজীবীরা হাল ছাড়ছেন না। তারা আগামীকাল (৩ মার্চ) সকালে পুনরায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করবেন, এবারের নথিতে বৈষম্য বিরোধী সংগঠকের পরিচয় সরিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া এ নিয়ে একটি প্রেস ব্রিফিংয়েরও পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে মামলার অগ্রগতির বিস্তারিত জানানো হবে।
শাতিম রাখাল রাহার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাদী গত সাত দিন ধরে থানা ও আদালতে ঘুরছেন, কিন্তু এখনো সফল হতে পারেননি। এর আগে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে দুইবার সাইবার ট্রাইব্যুনালের ছয়তলা পর্যন্ত উঠতে হয়েছে।
আইন ও বিচারের এই বাস্তবতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আগামীকাল নতুন কৌশলে মামলা দাখিলের প্রচেষ্টা সফল হয় কিনা।