তৃতীয় জুমাতেও ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের

তৃতীয় জুমাতেও ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
তৃতীয় জুমাতেও ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের। ছবি: সংগৃহীত

রমজানের অন্যান্য জুমার ন্য়য় গতকাল তৃতীয় জুমায়ও ইসরায়েল কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, অনুমতি থাকার পরও তাদের জেরুজালেমে যেতে দেওয়া হয়নি।

গতকাল শুক্রবার ২১ মার্চ ভোর থেকে শত শত ফিলিস্তিনি কলন্দিয়া চেকপয়েন্টে জড়ো হন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেমে পৌঁছে আল-আকসায় জুমার নামাজ আদায় করা। তবে ইসরায়েলি বাহিনী কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

ফিলিস্তিনিরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা পরিচয়পত্র ও অনুমতিপত্র যাচাই-বাছাই করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছে। অনেকের মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার বার্তা।

এদিকে ইয়ামুন শহর থেকে আসা ইবরাহিম আওয়াদ বলেন, ‘আমার কাছে বৈধ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে মোবাইলে বার্তা আসে যে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উস্কানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ আমি শুধু নিরীহ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলাম।’

৬৭ বছর বয়সী ইসমাইল আবদুল্লাহ বলেন, ‘এত বছর ধরে আমি কখনো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিনি। ইসরায়েল চায় না যে, ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমে প্রবেশ করুক।’

রামাল্লাহর সাদেক মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার বয়স এত বেশি, তবু আমাকে অনুমতি না থাকার অজুহাতে ঢুকতে দেওয়া হলো না! আল-আকসায় নামাজ পড়তে অনুমতি লাগে— এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি মার্চ মাসের শুরুতে আল-আকসায় প্রবেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাতে বলা হয়, শুধু ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষ ও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে পারবেন।

তবে ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এটি জেরুজালেমকে ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনিবিহীন করার প্রচেষ্টা। আল-আকসা মসজিদে প্রতিদিন ইসরায়েলি দখলদাররা ঢুকে উসকানিমূলক আচরণ করছে, আর এদিকে ফিলিস্তিনিদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পাশাপাশি জেরুজালেমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আমাদের ফলো করুন