মগ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির কবল থেকে বাঁচতে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা হলেও বিজিবির এক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শুক্রবার ২১ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকায় সমুদ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ বিজিবি সদস্য টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি বিওপির একজন সিপাহি।
স্থানীয়দের মতে, গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের একটি নৌকা সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা সেটি থামানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয় মাছ ধরার নৌকা নিয়ে তারা সেখানে যান। পরে বিজিবি সদস্য নৌকায় ওঠার পর প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ট্রলারটি ডুবে যায়।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার পথে নৌকাডুবির ঘটনা শুনেছি। বিজিবির এক সদস্যসহ বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।’
নৌকাটির মালিক মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘বিজিবির এক সদস্য আমার নৌকাটি নিয়ে যায় রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ট্রলারটি ধরার জন্য। পরে সেটি ডুবে গেলে অনেক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, তবে বিজিবির একজন সিপাহী এখনো নিখোঁজ।’
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, ট্রলারটিতে অর্ধশতাধিক মানুষ ছিল। নিখোঁজদের উদ্ধারে বিজিবি ও স্থানীয় জেলেরা সাগরে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি।
মায়ানমারে চলমান সহিংসতা ও মগ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির অতিষ্ঠ নির্যাতনে রোহিঙ্গা মুসলিমগণ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে পাড়ি দিচ্ছে। মাঝেমধ্যেই এসব নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন।







