চলতি বছর কান্দাহার থেকে ৪৪৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি বাজার মূল্যের ৪ লক্ষ ২১ হাজার টন রপ্তানি পণ্য পাকিস্তান, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেন, ইরান, তুরস্ক এবং জার্মানিতে রপ্তানি করা হয়েছে।
কান্দাহার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কর্মকর্তারা জানান, তাজা ও শুকনো ফলমূলের পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের মধ্যে শাকসবজি, মশলা, খনিজ এবং পশু উৎপাদনও রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, রোড বন্ধ থাকা সত্ত্বেও রপ্তানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কমেনি।
কান্দাহার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ডেপুটি আব্দুল বাকি বিনা বলেন, ‘গত ১১ মাসে কান্দাহারের রপ্তানি ভাল ছিল। মোট রপ্তানির পরিমাণ ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৭৫৮ টন, যার মোট মূল্য ৪৪৭,১৬৩,০০০ ডলার। এর বেশিরভাগই শুকনো ফলমূল।’
অন্যদিকে কান্দাহারের কয়েকজন শুকনো ফল রপ্তানিকারক পাকিস্তানের উপর নির্ভর না করে অন্য দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
একজন শুকনো ফল রপ্তানিকারক আবদুল মতিন বলেন, ‘যদি পাকিস্তানের বিকল্প রুট না পাওয়া যায়, তবে এই সমস্যা সমাধান হবে না। কারণ, পাকিস্তান সবসময় রপ্তানি খাতে আমাদের জন্য বাধা সৃষ্টি করে।’
অন্য এক শুকনো ফল রপ্তানিকারক মোহাম্মদ ইয়াকুব জানান, প্রথমে পাকিস্তানের সাথে রপ্তানির সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। যদি এই সমস্যা স্থায়ী হয় তবে অন্য দেশগুলোর সাথে চুক্তি করা উচিত, যাতে রপ্তানি ও আমদানির প্রক্রিয়া নিরাপদ ও স্থিতিশীল থাকে।
শুকনো ফল রপ্তানিকারক সৈয়দ মোহাম্মদ আঘা বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত, কিন্তু আমরা পাকিস্তানের মাধ্যমে রপ্তানি করি। তবে পাকিস্তান আমাদের বাণিজ্য পথ অবরুদ্ধ করে দেয়। এদিকে আমাদের কৃষি উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে কান্দাহার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পাকিস্তানের পাশাপাশি কয়েকটি মধ্য এশিয়ার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও সম্প্রসারিত হচ্ছে।
সূত্র: টিএন







