ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রাচীন দরগায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা, উড়ানো হলো গেরুয়া পতাকা

ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রাচীন দরগায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা, উড়ানো হলো গেরুয়া পতাকা
ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রাচীন দরগায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা, উড়ানো হলো গেরুয়া পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৬ মার্চ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার রহুরিতে শতাব্দীপ্রাচীন হযরত আহমদ চিশতীর দরগায় (বুওয়াসিন্দ বাবা) ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের একটি দল দরগায় প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় এবং ঐতিহ্যবাহী সবুজ পতাকা নামিয়ে সেখানে গেরুয়া পতাকা স্থাপন করে।

এই হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত। কয়েক মাস ধরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দরগাটিকে ‘হিন্দু মন্দির’ হিসেবে দাবি করে আসছিল। তারা এটিকে মন্দিরে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছিল। চেয়েছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ।

রহুরির জনসংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার। এর মধ্যে ১৪ হাজার মুসলিম রয়েছেন। দরগার পাশেই তাদের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে উগ্রপন্থীদের এই বর্বর হামলা পুলিশের সামনে ঘটলেও কোন ধরনের প্রতিরোধ করা হয়নি। বরং প্রশাসনের নীরবতা দেখে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

এর আগে ২৬ মার্চ সকালে শিবাজি মহারাজের মূর্তি বিকৃত করার অভিযোগ ছড়ানো হয়। এরপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এ ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে দরগায় হামলা চালায়। এমনকি তারা মুসলিম বসতিতে ঢুকে পাথর নিক্ষেপ ও সহিংসতা চালায়।

দরগায় হামলার পর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘সকাল হিন্দু সমাজ’ সেখানে ২৭ মার্চ ‘মহা আরতি’ আয়োজন করে। তারা দরগাটিকে ‘শ্রী বুওয়াসিন্দ দেব মহারাজ মন্দির’ বলে উল্লেখ করছে। যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, এই উগ্রপন্থীদের কঠোর হাতে দমন করা না হলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

আমাদের ফলো করুন