যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আরাকানে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা

মিয়ানমারের কাচিনে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক বিমান হামলা, বহু হতাহত
মিয়ানমারের কাচিনে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক বিমান হামলা, বহু হতাহত। ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারের জান্তা বাহিনী তিন সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও সেটি ভঙ্গ করে আরাকান রাজ্যের কিয়াউকফিউ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। শহরটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সেখানে চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘নারিঞ্জারা নিউজ’ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে কিয়াউকফিউয়ের গং চুয়েন অঞ্চলের পিন শি গ্রামের আশপাশে দুটি বিমান হামলা চালানো হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ওই এলাকায় আঘাত হানে।

স্থানীয়দের মতে, ৩ ও ৪ এপ্রিল টানা তৃতীয়বারের মতো এই হামলা চালানো হলো। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর ড্রোন থেকে পিন শি গ্রামের আশপাশে ৬০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়েছিল।

সামরিক সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী শুধু বিমান হামলাই চালায়নি; তারা যুদ্ধবিমান, প্যারাশুট টিম, ড্রোন এবং নৌ ইউনিট ব্যবহার করে থেট ফুট তাউং অঞ্চলের চোক চাউং ও সিমাও গ্রামেও হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, জান্তা সরকার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও আরাকানে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। আরাকান ছাড়াও কাচিন, সাগাইং ও শানসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২ এপ্রিল সামরিক সরকার দাবি করেছিল, বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে তারা দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৪ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৮৫০ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন।

এদিকে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের জাতীয় গণতান্ত্রিক মিত্রবাহিনীসহ বেশ কয়েকটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী চলতি এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি মেনে চলার ঘোষণা দিয়েছে।

আমাদের ফলো করুন