মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন আরও বাড়িয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তারা মংডুর উত্তরে অবস্থিত ‘ও কিয়ি চেইক’ গ্রুপের আওতাধীন তিনটি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা হিসেবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে ‘রোহিঙ্গা নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছে, আরাকান সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ওই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা সরাসরি নির্দেশনা দেন—গ্রামের সব রোহিঙ্গা বাসিন্দাকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে গ্রাম ছাড়তে হবে। অন্যথায় তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ওই বৈঠকে গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়েছে, যদি তারা গ্রাম না ছাড়ে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন, সময়সীমার পর সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিতে বা সম্পূর্ণ দখলে নিতে পারে।
এই নির্দেশের ফলে, তিনটি গ্রামের অনেক রোহিঙ্গা পরিবার এখন ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন পার করছেন। তারা জানিয়েছেন, পরিবার-পরিজন ও সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন, সে বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। কারণ, আশেপাশের এলাকাগুলোর পরিস্থিতিও অনিরাপদ এবং পালানোর পথও প্রায় বন্ধ।
উল্লেখ্য, এর আগেও সন্ত্রাসী আরাকান সেনাবাহিনী এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা নানা সময়ে বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রামে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে, এমনকি হত্যাকাণ্ডও ঘটিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান লড়াইয়ে রোহিঙ্গারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
সূত্র: এএনএ







