ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী পুলিশি উগ্রতায় ১১০ অধিক মুসলিম গ্রেপ্তার

ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী পুলিশি উগ্রতায় ১১০ অধিক মুসলিম গ্রেপ্তার
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী পুলিশি উগ্রতায় ১১০ অধিক মুসলিম গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলাকালে পুলিশের দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন। এই ঘটনার পর পুলিশ ১১০ জনেরও বেশি মুসলিমকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল শনিবার এই নতুন আইন বাতিলের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলাতেও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশের তরফে অহেতুক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া ও রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার ঘটনা মূলত পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরই ঘটে।

মুর্শিদাবাদ ছিল সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত। প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং লাঠিচার্জ চালিয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। অথচ প্রশাসন আমাদের কথা না শুনে অবৈধভাবে শক্তি প্রয়োগ করেছে।’

এদিকে সুতির সংঘর্ষে এক কিশোরকে গুলিবিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। এরপর তাকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশের গুলিতে ওই কিশোর আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ পর্যন্ত সুতিতে প্রায় ৭০ জন এবং সামশেরগঞ্জে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করলেও স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে তথ্যপ্রবাহ থামিয়ে দিতে চাইছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তির অধিকার খর্ব করবে। পাশাপাশি এটি তাদের স্বাধীনতা হরণের শামিল।

আমাদের ফলো করুন