উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলার চন্দাউসি এলাকায় বানিয়াখেড়া ব্লকের জানেটা গ্রামে অবস্থিত ‘দাদা মৌয়াজমিয়া শাহ’ দরগা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি আর্থিক অনিয়ম ও জমির মালিকানা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ তদন্তের পেছনে প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান ও মুসলিম ধর্মীয় স্থানগুলোর ওপর নিয়মিত হস্তক্ষেপের চিত্রই ফুটে উঠছে।
স্থানীয় এক মুসলিম বাসিন্দা জাভেদ অভিযোগ করেছেন, দরগাটি আসলে ওয়াকফ জমির ওপর অবস্থিত। যা বহু বছর ধরে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন একে ‘অবৈধ দখল’ আখ্যা দিয়ে মুসলিম স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাচ্ছে।
প্রশাসনের দাবি, দরগার জমিটি রাজস্ব রেকর্ডে ওয়াক্ফ হিসেবে তালিকাভুক্ত নয়। অথচ ভারতে বহু মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা ও ওয়াকফ সম্পত্তির নথি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত বা ইচ্ছাকৃতভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি—এটি নতুন কিছু নয়। বরং একে পুঁজি করেই মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে দরগায় ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত মোতাওয়াল্লি না থাকলেও, ধর্মীয় কার্যক্রম যেমন উরস-উৎসব যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি এটি পরিচালনা করলেও এখন তাকেই করা হচ্ছে মূল অভিযুক্ত, যেন মুসলিম সমাজকে নেতৃত্বশূন্য ও অপরাধী হিসেবে প্রমাণ করা যায়।
চন্দাউসি তহসিলদার ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, দরগার জমি সরকারি খতিয়ানে ওয়াকফ নয়—এই বক্তব্যও হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক প্রভাবের ছায়া বহন করছে, যেখানে মুসলিম সম্পত্তিকে সরকারি বলে দখলে নেওয়া কোন নতুন কৌশল নয়।
মূলত উত্তর প্রদেশসহ সারা ভারতে মুসলিম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নিশানা করে যেভাবে একের পর এক তদন্ত, ভাঙচুর ও আইনি হেনস্তা চালানো হচ্ছে, এটি বড় ধরনের এক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অঙ্গ।
সূত্র: এমএম







