নিউজনেস্ট

সিরিয়ায় দখলকৃত অঞ্চল দেখাতে পর্যটক নিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল

সিরিয়ায় দখলকৃত অঞ্চল দেখাতে পর্যটক নিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল
সিরিয়ায় দখলকৃত অঞ্চল দেখাতে পর্যটক নিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চলে এবার পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ দিবে দখলদার ইসরাইল। পাসওভার উৎসব উপলক্ষে গোলান মালভূমির নবদখলকৃত এলাকাগুলোতে বুলেটপ্রুফ বাসে করে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে যাওয়া হবে। গতকাল রবিবার ১৩ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ ভ্রমণ। চলবে এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় গোলান মালভূমি দখলে নেয় দখলদার ইসরায়েল। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর মালভূমির ‘বাফার জোন’ বা সংঘাত এড়ানোর জন্য নির্ধারিত বিশেষ এলাকাগুলোও ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বর্তমানে সিরিয়ার কয়েক বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পর্যটকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে সামরিক পাহারায় সিরিয়ার ভেতরে সর্বোচ্চ আড়াই কিলোমিটার পর্যন্ত নেওয়া হবে। এ পথে দেখা যাবে সিরীয় অংশের হারমন পর্বত। পর্যটকগণ রাদান নদীতে সাঁতার কাটতে এবং তীর ধরে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আরও দেখা যাবে উসমানীয় খিলাফতের পরিত্যক্ত হেজাজ রেলপথের কিছু অংশ, যা একসময় ইস্তাম্বুলকে হাফিয়া, নাবলুস ও সৌদি আরবের পবিত্র নগরীর সঙ্গে যুক্ত করেছিল।

এই উদ্যোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ২১০তম ডিভিশনসহ কয়েকটি সংস্থা যুক্ত আছে। পুরো কার্যক্রমটি ‘নিরাপদ উত্তরে ফেরা’ নামে একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই পর্যটনের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ঐতিহ্য তুলে ধরা এবং যুদ্ধকালীন ইতিহাস জানানোই মূল লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে বর্বর ইসরায়েল। তাদের দাবি, আসাদের আমলে গড়ে তোলা অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করতেই এসব হামলা। ১৯৭৪ সালের একটি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের স্থলবাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের যেকোন বাহিনীকে আমাদের সীমান্ত থেকে দূরে থাকতে হবে। উপযুক্ত বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা ওই এলাকায় অবস্থান করবে।’

শেখ আফজাল হোসেন
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত