দেশজুড়ে বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের পন্না জেলার বিডি কলোনিতে অবস্থিত একটি ৩০ বছরের পুরনো মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। এই ঘটনাকে অনেকেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি হিসেবেই দেখছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাটি বহু বছর ধরে এলাকায় শিশুদের প্রাথমিক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে আসছিল। মাদ্রাসার পরিচালকের দাবি, ভবন নির্মাণের সময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বৈধ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পৌর নিগমের আওতায় নিয়ে ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে ভাঙার নির্দেশ জারি করা হয়।
গত ৮ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ ইতোমধ্যেই মুসলিম সমাজে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে। আইনটি পাশ হওয়ার আগে ও পরে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এটিকে অসাংবিধানিক, পক্ষপাতদুষ্ট ও মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপমূলক বলে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় আইনটির প্রতিবাদে গত ১১ই এপ্রিল বিক্ষোভ চলাকালে তিনজন শহীদ ও দুই শতাধিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে কলকাতা হাইকোর্ট বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইন ও তার বাস্তবায়ন যেন শুধু মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে মাদ্রাসা ভাঙা, আর মুর্শিদাবাদে প্রাণহানি এই দুই ঘটনা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, নতুন আইনটির নামে দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আজ সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে।
সূত্র: এমএম







