গাজায় নির্মম আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া ও ইরানমুখী সম্ভাব্য লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের অস্ত্রচালান পাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এতে ৩ হাজারের বেশি বোমা রয়েছে বলে জানিয়েছে হিব্রু দৈনিক পত্রিকা ইয়েদিয়োথ আহরোনোথ।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন অস্ত্রচালানটির অনুমোদন দিয়েছে। চালানটি দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে একটি ‘বৃহৎ সামরিক অভিযানের’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। এই চালানের বাইরে আরও ১০ হাজারের বেশি গোলাবারুদ পাবে দখলদার ইসরায়েল। এগুলো ব্যবহার করা হবে গত দেড় বছরে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধের ফলে ক্ষয় হওয়া মজুদ পূরণে।
দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রচুক্তির এই চালান যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের একটি পুরোনো অস্ত্রচুক্তির অংশ। গত বছর এই চুক্তি হলেও বাইডেন প্রশাসন তা স্থগিত রেখেছিল। তবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সেটি আবার চালু করেন।
চুক্তির আওতায় দখলদার ইসরায়েল পাচ্ছে—
- ৩ হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র (মূল্য: ৬৬০ মিলিয়ন ডলার)
- ১৬৬টি AGM-114 হেলফায়ার বোমা
- ২১৬৬টি GBU-39 স্মার্ট বোমা
- প্রায় ১৩ হাজার JDAM গাইডেন্স কিট
- ১৭ হাজার ৪৭৫টি FMU-152A/B ফিউজযুক্ত বোমা
হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের সরবরাহ শুরু হবে ২০২৮ সাল থেকে। অন্য বোমাগুলো ২০২৫ সাল থেকেই পাঠানো শুরু হবে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অস্ত্রচুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য বদলাবে না। বরং ইসরায়েল তার সীমান্ত, অবকাঠামো ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মজুদ এবং লকহিড মার্টিন, বোয়িং, এলথ্রি হ্যারিসসহ মার্কিন কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হবে।
অন্যদিকে চলমান গাজা আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহায়তায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত হতাহতের শিকার এক লাখ ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র: টিআরটি







