মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একটি যুদ্ধবিমান আরাকান রাজ্যের পাউকতাও শহরের একটি রোহিঙ্গা গ্রামের কাছে দুটি ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১১ই এপ্রিল সকালে সিত্তে শহরের নিকটবর্তী ফাইউংগা দ্বীপে অবস্থিত আনোক ইয়ে নামক গ্রামের এই বিমান হামলা দুটি চালানো হয়। তবে সৌভাগ্যবশত এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে নারিঞ্জারা নিউজ।
বসবাসকারীরা ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, সিত্তে শহরে প্রায়ই ভারী কামান ও হালকা অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যা তাদের নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
উল্লেখ্য, এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহ মাছ শিকারের ওপর নির্ভরশীল। তবে এখন তারা মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। কারণ, সামরিক নৌবাহিনী তাদের আটক করছে।
এর আগে ২৮ মার্চের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমার জান্তা সরকার ২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। ওই ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ হতাহত ও নিখোঁজ হয়। তবে এই ঘোষণার পরও সেনাবাহিনী বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ এবং সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বিমান হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হতাহত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আরাকানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর কিয়াউকফিউ। যেখানে চীনের বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে।
৫ এপ্রিল ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (NUG) জানিয়েছে, ভূমিকম্প-পরবর্তী সপ্তাহে সামরিক সরকার ৬৩টি বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে আরাকান রাজ্যও রয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৬৮ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন শিশু ও ১৫ জন নারীও ছিল।
সূত্র: এএনএ







