ইহুদি উৎসব পাসওভারের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা প্রহরায় শত শত অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী জোরপূর্বক আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করেছে।
জেরুজালেমের (দখলকৃত পূর্ব আল কুদস) ওয়াকফ প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদের পশ্চিম পাশে অবস্থিত মাগরিবি গেট দিয়ে ১,২২০ জনের বেশি বসতি স্থাপনকারী মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা প্রাঙ্গণে উসকানিমূলক আচরণ করে। প্রকাশ্যে নাচ-গানসহ ধর্মীয় রীতির নামে নানা অপকর্ম চালায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আল আকসার প্রবেশপথ বাব আল আসবাত এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল উচ্চস্বরে গান গাইছে ও নাচছে। সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন মসজিদে প্রবেশের অপেক্ষায়। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে পাসওভার উপলক্ষে ‘প্রার্থনার’ অজুহাতে শত শত ইহুদি পশ্চিম প্রাচীর চত্বরে (ওয়েস্টার্ন ওয়াল প্লাজা) জড়ো হয়। ইসরায়েলি পুলিশ পুরো আল আকসা এলাকা ঘিরে ফেলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করে। ফলে আশপাশের এলাকা কার্যত সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হয়। অনেক ফিলিস্তিনিকে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় অনেকের পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।
পাসওভার উৎসবটি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব। যা মিসর থেকে ইসরায়েলিদের মুক্তির ঘটনা স্মরণে পালন করা হয়। আল আকসায় এই ধরনের সংঘবদ্ধ হামলা প্রায়শই তেলআবিব সমর্থিত ‘টেম্পল মুভমেন্ট’-এর উসকানিতে সংঘটিত হয়। পাশাপাশি তা ইসরায়েলি পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পরিচালিত হয়। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আহত, গ্রেপ্তার এমনকি শহিদও হন অনেকে।
উল্লেখ্য, আল আকসা মসজিদকে ঘিরে উত্তেজনা বহুদিন ধরেই ইসরায়েলি দখলদারদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে। ২০০০ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সূচনা হয়েছিল এই আল আকসা চত্বরে।
সূত্র: এএ







