ওয়াকফ আইন ঘিরে ভারতজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, উস্কানিদাতা মোদি-আদিত্যনাথ

ওয়াকফ আইন ঘিরে ভারতজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, উস্কানিদাতা মোদি-আদিত্যনাথ
ওয়াকফ আইন ঘিরে ভারতজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, উস্কানিদাতা মোদি-আদিত্যনাথ। ছবি ; সংগৃহীত

ভারতে ফের উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। কেন্দ্রের পাস করা নতুন ওয়াকফ (সংশোধিত) বিল ঘিরে সারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। আর এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিতর্কিত বক্তব্য।

যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ’দাঙ্গাকারীদের কন্ট্রোলে আনতে হলে শক্তি প্রয়োগই একমাত্র পথ। পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে, কিন্তু ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ! এদিকে দাঙ্গাকারীদের ‘শান্তিদূত’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি হরিয়ানার এক জনসভায় মুসলিম সমাজকে কটাক্ষ করে বলেন, ’ওয়াকফের নামে দেশে লাখ লাখ হেক্টর জমি পড়ে আছে। এগুলো সততার সঙ্গে ব্যবহৃত হলে মুসলিম যুবকদের সাইকেলের পাংচার মেরামত করে জীবন কাটাতে হতো না।’

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন হায়দ্রাবাদের এমপি ও AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। এক্সে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি তীব্র ভাষায় বলেন, ‘যদি আরএসএস নিজের সম্পদ ঠিকভাবে ব্যবহার করত, তাহলে মোদিকে ছোটবেলায় চা বিক্রি করতে হতো না।’

এদিকে ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে দাবি করে রীতিমতো আন্দোলনে নেমেছে মুসলিম সংগঠনগুলো। এনিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। এমনকি মামলা ঠেকেছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।

গতকাল বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্য মুসলিম হতে হবে—শুধু পদাধিকারবলে আসা সদস্য ব্যতিক্রম। সেইসঙ্গে আদালত প্রশ্ন তুলেছে,হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্টে কি মুসলিমদের জায়গা দেওয়া হয়?

আরও স্পষ্ট ভাষায় আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যে সব সম্পত্তিকে আদালত ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলিতে আপাতত কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না।

ভারতের মুসলিম সমাজ এখন নজর রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে। তবে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য পরিস্থিতিকে যেভাবে উত্তপ্ত করছে, তাতে যে অচিরেই সমাধান আসবে না, তা বলাই বাহুল্য।

আমাদের ফলো করুন