প্রতিরক্ষায় সামরিক সম্পর্ক জোরদারে এগোচ্ছে সৌদি আরব-ইরান

প্রতিরক্ষা সামরিক সম্পর্ক জোরদারে এগোচ্ছে সৌদি আরব-ইরান
প্রতিরক্ষা সামরিক সম্পর্ক জোরদারে এগোচ্ছে সৌদি আরব-ইরান। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এ সময় ইরান জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে প্রস্তুত।

মেজর জেনারেল বাঘেরি বলেন, ‘দুই দেশের এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক আমাদের শত্রুদের জন্য আরও ভয়ের কারণ হবে। এছাড়া আমাদের বন্ধুদের জন্যও তা স্বস্তিদায়ক হবে ।’

তিনি সৌদি আরবকে ‘ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম (IONS)’-এর সামুদ্রিক মহড়া IMEX 2024-এ পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এই মহড়াটি ভারত মহাসাগরে ইরান, রাশিয়া ও ওমানের যৌথ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সৌদি আরব, ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার ও বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।

মার্চ ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত ‘বেইজিং চুক্তি’ অনুসারে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর থেকে ইরান ও সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ পাচ্ছে বলে জানান জেনারেল বাঘেরি।

তিনি বলেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নীতিই হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন। তাই দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি ভালো ভিত্তি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখানকার দেশগুলোরই হওয়া উচিত। যেখানে তেহরান ও রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’জেনারেল বাঘেরি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জটিলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও বিস্তারে প্রস্তুত এবং উভয় পক্ষের আগ্রহের জায়গা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক।

তিনি ইসলামি দেশগুলোর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করতে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক ভূমিকা এবং অঞ্চলজুড়ে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টার কথা বলেন।এ সময় তিনি গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সকল ইসলামি দেশের একতা, সহমর্মিতা এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দরকার জায়নিস্ট শাসনের অপরাধ রুখতে।

প্রিন্স খালিদ তেহরানে পৌঁছে ইরান এবং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদর দপ্তরের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করে বলেন, আপনাদের আতিথেয়তা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সুদৃঢ়তার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ক পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় প্রভাব ফেলবে। সৌদি আরব এই সম্পর্ক আরও জোরদার ও সম্প্রসারণে অঙ্গীকারবদ্ধ।তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইনশাআল্লাহ, এই সুসম্পর্কের ইতিবাচক ফলাফল শুধু আমাদের দু’দেশের নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে।

আমাদের ফলো করুন