নিউজনেস্ট

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে শহীদ কমপক্ষে ৫০, উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে শহীদ কমপক্ষে ৫০, উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক বোমাবর্ষণ
ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে শহীদ কমপক্ষে ৫০, উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক বোমাবর্ষণ। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনে নতুন করে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন স্থানে চালানো বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

শহীদদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি গাজা শহর এবং উত্তর গাজার। তবে খান ইউনুস ও রাফাহসহ গোটা অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে।

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের অব্যাহত ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আরও হতাহত এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘায়ি এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের এই নিরন্তর নিষ্ঠুর বোমাবর্ষণ এবং নির্মম ক্ষুধার্ত করে রাখার কৌশলে গাজায় শিশুদের হত্যা নৃশংস যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনে তা গণহত্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থা, তাদের সহযোগী এবং সমর্থকদের অবশ্যই এই অপরাধের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি করা উচিত।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গণহত্যামূলক এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১,০০০। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১,১৬,৫০০ জন।

ডাক্তারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন মেদসাঁ সাঁ ফ্রঁতিয়ে (Doctors Without Borders) ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যা চালানো এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের কষ্ট লাঘবে নিয়োজিত মানবিক কর্মীদের হত্যা করার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদ করার ইঙ্গিত দিয়ে আসছে।এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার জনগণকে অন্য দেশে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আরব দেশগুলো একযোগে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে।

গাজার ফিলিস্তিনিরা বলছেন, তারা তাদের ভূমি ছাড়তে চান না। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় সংঘটিত ব্যাপক উচ্ছেদের মতো আরেকটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।

ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার ও সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ট্রাম্পের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েলের পক্ষে আরও অনুকূল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন জানিয়ে দিয়েছে, তারা গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত ছাড়া বাকি বন্দিদের মুক্তি দেবে না।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত