কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস (KMS) জানিয়েছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে, যা গোটা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী আদর্শকে ‘ধর্মীয় সন্ত্রাস’-এর রূপে তুলে ধরা হচ্ছে। বিজেপি সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে এই আদর্শের প্রচারণা চালাচ্ছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে তা বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজ করছে তারা ।
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে নিপীড়নের চিত্র
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস-এর মতে, ভারতের দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) যে দমন-পীড়ন চলছে, তা হিন্দুত্ববাদের বাস্তব প্রয়োগ। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছে ও গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকে। এ সবকিছুই হিন্দুত্ববাদী নীতির অংশ।
মুসলমানদের লক্ষ্য করে বৈষম্যমূলক আইন
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC)। এসব আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের দেশহীন করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
আরএসএস-এর পৃষ্ঠপোষকতা ও রাষ্ট্রীয় মদদ
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘আরএসএস’ (RSS)-এর সঙ্গে বিজেপির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই গোষ্ঠী এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে এই হিন্দুত্ববাদী সরকার। যারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা-হত্যা-ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
ভারতীয় সরকার এবং বিচার বিভাগ এই সব কর্মকাণ্ডে চোখ বন্ধ করে রেখেছে—এমনকি অনেকক্ষেত্রে তাদের রক্ষা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিজেপি সরকার ভারতের সংবিধানিক চরিত্র বদলে দিয়ে এটিকে একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বানাতে চাইছে। যেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিশ্লেষকগণ বলছেন, ভারতের ভেতরে যেভাবে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে, তা শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে—এই চরমপন্থা ও বৈষম্যমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: কেএমএস







