উপমহাদেশে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বেলে দিলো ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাত। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পাকিস্তানের ভেতরে তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ও সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম না করে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো নিজেদের আকাশসীমা থেকেই হামলা চালিয়েছে।
ভয়াবহ এসব মিসাইল হামলায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। বুধবার ভোরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আইএসপিআর নিশ্চিত করেছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আজাদ কাশ্মীর, মুজফফরাবাদ ও ভাওয়ালপুর এলাকায় পড়েছে। এতে একটি মসজিদ, একটি পাওয়ার গ্রিড স্টেশনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার জবাবে পাকিস্তানও চুপ করে থাকেনি। পাল্টা অভিযানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দফতর। সীমান্তের ধুন্ডিয়াল সেক্টরে মিসাইল হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ভারতীয় সামরিক পোস্ট।
এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করার সাহস দেখাতে পারেনি। তারা কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে এর জবাব খুব শিগগিরই তারা পাবে।’
জেনারেল চৌধুরী আরও জানান, পাকিস্তান ইতোমধ্যেই তাদের সব যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে এবং উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হঠাৎ এই হামলার পেছনে ভারতের উদ্দেশ্য কী ছিল—তা স্পষ্ট নয়। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা, কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের অবস্থান এবং সম্প্রতি উভয় পক্ষের সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ছিল।
সাম্প্রতিক এই ঘটনায় আবারও দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা।
সূত্র: এজে