মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের এক স্থানীয় নেতা সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে শহিদ হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আরাকানের বুথিডং শহরে মোহাম্মদ রশিদ নামের ওই রোহিঙ্গা নেতাকে আটকের পর সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন করে। পরে তার শাহাদাতের বিষয়টি স্বীকার করে সংস্থাটি।
গত ২৪ এপ্রিল বুথিডং এলাকা থেকে মোহাম্মদ রশিদসহ আরও পাঁচজন রোহিঙ্গাকে কোনো কারণ না দেখিয়ে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। তাদের মধ্যে রশিদ ছিলেন এলাকায় সুপরিচিত একজন নেতা। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বুথিডংয়ের নিয়ন্ত্রণ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির হাতে গেলে তাকে ‘আলাই চাউং’ গ্রাম প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
তবে এখন পর্যন্ত বাকি চারজন রোহিঙ্গা আটক ব্যক্তির অবস্থান বা শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তারা কোথায়, কেমন আছেন—তা পরিবার বা স্থানীয়দের কেউই জানেন না।
এদিকে আরাকান আর্মির হাতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। কখনো তাদের ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ’ এর অভিযোগে আটক করা হচ্ছে, কখনো অপহরণ, আবার অনেককে বন্দি করে নির্যাতনের পর শহিদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আরাকান রাজ্যের দখল নিতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। এর ফলে রাজ্যের বড় একটি অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই সংঘাতের মাঝখানে পড়ে রোহিঙ্গারা চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।তাদের ওপর চলছে বৈষম্য। জোর করে তাদের শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে। এমনকি বাধ্য করা হচ্ছে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে। এ অবস্থায় বহু রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পাশের দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আরাকান রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান এই যুদ্ধ রোহিঙ্গাদের জীবনে নতুন করে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
সূত্র: এএনএ