দিল্লির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার তাইমুর নগরে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ) কর্তৃক চালানো উচ্ছেদ অভিযানে সোমবার প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিডিএ জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নালার আশপাশে থাকা ’অবৈধ দখলদারদের’ ঘরবাড়ি সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক, ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী বহু পরিবার একদিনের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ডিডিএ দাবি করে, উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং নিজ দায়িত্বে ঘর ছাড়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের একাংশ জানান, নোটিশ যথাসময়ে হাতে পৌঁছায়নি এবং তারা আদালতের মাধ্যমে স্থগিতাদেশের চেষ্টা করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
ডিডিএর এই পদক্ষেপের পেছনে দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায় রয়েছে। শনিবার আদালত জানায়, নালার ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলোই গত শুক্রবারের বৃষ্টির পর সৃষ্ট জলাবদ্ধতার মূল কারণ। মহারানি বাগ এলাকার কিছু বাসিন্দা আদালতে অভিযোগ করেন, নালার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ ঘরবাড়ি ও ময়লা আবর্জনার কারণে প্রতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
ঘর হারানো বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা বছরের পর বছর এই এলাকায় বাস করছেন এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও রয়েছে। তারা এই উচ্ছেদকে অমানবিক ও পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দাবি করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আগে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই একদিনে আমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। আমরা এখন কোথায় যাব?’
এই উচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ গরিব ও সংখ্যালঘু এলাকাতেই কেন বারবার এ ধরনের অভিযান চালানো হয়।
ডিডিএ এখনও পরবর্তী পুনর্বাসন বা বিকল্প আশ্রয়ের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
সূত্র: এমএম