দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ১৪৮ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’ জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় রবিবার রাতে খান ইউনুসের উপকণ্ঠে আবু আর রুস পরিবারের একটি আবাসিক ভবনে বোমা বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এই হামলায় একই পরিবারের অন্তত পাঁচজন সদস্য শহিদ হয়েছেন যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আবু আর রুসের পরিবারটি সেখানে বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছিল আর হামলার সময় তারা সবাই ঘরের ভেতরেই ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী কোনো সতর্কতা ছাড়াই ওই বাড়িটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে উত্তর গাজার ‘সাফতাওয়ি’ এলাকায় একটি পানির কূপ খননের সময় জড়ো হওয়া শ্রমিক ও বাসিন্দাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসল জানান,
‘এত বেশি হামলা হচ্ছে যে আমাদের দলগুলো আহত বা আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে পারছে না। আমাদের ৭৫ শতাংশ অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারযান জ্বালানির অভাবে অচল হয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান,
‘পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি জ্বালানি সরবরাহ না আসে, আমরা আর কোনো মানবিক কার্যক্রম চালাতে পারব না।’
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার রাতে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। উপত্যকার একাধিক এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। চলমান সংঘাতের এ নতুন ধাপ গাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৯ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকাকে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, আবাসিক ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির ঘাটতি চরমে পৌঁছেছে।
সূত্র: আশ শারকুল আওসাত
