অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করতে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিল ভারত

অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করতে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিল ভারত
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করতে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিল ভারত। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে—যাদের বৈধ পরিচয়পত্র নেই, কিংবা নিজেরা ভারতীয় দাবি করলেও প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ, তাদের আটক করে দ্রুত ফেরত পাঠাতে হবে। এর আওতায় প্রত্যেক জেলায় ডিটেনশন সেন্টার গড়ে তোলার পাশাপাশি, পুলিশের অধীনে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে ‘আসাম রাইফেলস’ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে।

এছাড়া প্রতিটি রাজ্যকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। আধার, নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যাদের ফেরত পাঠানো হবে, তাদের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে —যাতে তারা আর কোনোভাবে পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ব্যবহার করতে না পারে।

ইতিমধ্যে গুজরাটে ৬,৫০০ জন এবং রাজস্থানে ১৪৮ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আসামে কয়েকজন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

এদিকে দিল্লি ও আসাম থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ডধারী রোহিঙ্গাদের জোর করে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। কিছু রোহিঙ্গাকে সাগরে ফেলে মিয়ানমারের দিকে সাঁতরে যেতে বাধ্য করার ঘটনাও তদন্তে উঠে এসেছে।

ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্য না হওয়ায়, দেশটি রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে জাতিসংঘে নিবন্ধিত শরণার্থীরাও এখানে নিরাপদ নন।২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। ২০২৩ সালে নতুন করে আরাকানে সহিংসতা শুরু হওয়ায় অনেকেই এখন আশ্রয়ের খোঁজে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু, সেখানেও মিলছে না নিরাপত্তা।

আমাদের ফলো করুন