তারিখ প্রদর্শন

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আবার হানা দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ!

ভারতে আবারও বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ, আক্রান্ত ছাড়াল এক হাজার
ভারতে আবারও বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ, আক্রান্ত ছাড়াল এক হাজার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের একাধিক রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় নতুন করে সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করেছে। এতে জোর দেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি, বেশি করে টেস্ট করানো এবং হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি জোরদার করার ওপর।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস জানায়, মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন—এর মধ্যে মুম্বাইয়ে ৩৫ জন এবং পুনেতে ৪ জন। দিল্লিতে একদিনে ২৩টি নতুন কেস ধরা পড়েছে, ফলে রাজধানীতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪-তে। গুজরাটে এখন সক্রিয় রোগী ৩৪ জন, যাদের বেশিরভাগই আহমদাবাদের। কর্ণাটকে মোট ৩৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেঙ্গালুরু রুরাল জেলার মাত্র ৯ মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। শুধু মে মাসেই কেরালায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৩ জন।

হরিয়ানাতেও নতুন করে ৪টি কেস ধরা পড়েছে, যেগুলো সবই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে পুনরায় সতর্ক করে বলেছে, মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন নির্দেশনায় দেশের সব হাসপাতালকে অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ শয্যা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং চলছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আগাম সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে এবং জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতাল পরিকাঠামোয় প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেনি। তারা বলেন, ভারতের বহু হাসপাতাল এখনো প্রয়োজনের তুলনায় দুর্বল এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও বারবার ফিরে আসা স্বাস্থ্য সংকট সামলাতে অক্ষম।

সরকারি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নতুন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাড়ছে, তখন ভারতের জনসাধারণের সতর্কতা জারি রাখা জরুরি।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই ‘সাইন্স এডভান্স’ নামের একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকার যে হিসেব দিয়েছে, তার প্রায় আট গুণ বেশি ছিল। এই তথ্য দেশের জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডেটা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আমাদের ফলো করুন