আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালারডাইসের পদত্যাগ

তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে এই পদে নিযুক্ত হন, এর আগে আট মাস ধরে তিনি ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ছবি: ক্রিকবাজ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) চলমান রদবদলের ধারায় এবার বড় একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী (সিইও) জিওফ অ্যালারডাইস পদত্যাগ করেছেন। আইসিসি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এবং নতুন সিইও খোঁজার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছে।

আইসিসির পক্ষ থেকে সরাসরি কিছু বলা না হলেও, ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নানা অব্যবস্থাপনার জেরে তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছিল। এছাড়া ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়েও বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়, যা তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।

আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চিফ এক্সিকিউটিভ জিওফ অ্যালারডাইস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” সাম্প্রতিক সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে বিলম্ব এবং ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।

এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসও আইসিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তারা আইসিসিকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ১০০ দিনের বেশি বিলম্ব না করার চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে অ্যালারডাইস বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের ছিল। ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার এবং আইসিসি সদস্যদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি গড়ে তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে অবদান রাখতে পেরে আমি গর্বিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, এটি সরে যাওয়ার সঠিক সময় এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের উপযুক্ত মুহূর্ত। আইসিসির প্রতি আমার শুভকামনা রইল।”

অ্যালারডাইসের পদত্যাগের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আইসিসির নতুন প্রধান নির্বাহী কে হচ্ছেন? আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, একটি হেড-হান্টিং ফার্মের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে আইসিসিতে যোগ দেন অ্যালারডাইস। প্রথমে ক্রিকেট অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন, পরে ২০২১ সালে সিইও হিসেবে নিয়োগ পান। তবে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে দক্ষ হলেও সিইও পদে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরণ বেশ শিথিল বলেই অনেকে মনে করতেন। তবে আইসিসির নতুন সিইও নির্বাচন কবে সম্পন্ন হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সূত্র: ক্রিকবাজ

আমাদের ফলো করুন