মোহাম্মদ দেইফসহ হামাসের ছয় শীর্ষ কমান্ডারের শাহাদাত ঘোষণা

মোহাম্মদ দেইফসহ হামাসের ছয় শীর্ষ কমান্ডারের শাহাদাতের ঘোষণা
মোহাম্মদ দেইফসহ হামাসের ছয় শীর্ষ কমান্ডারের শাহাদাতের ঘোষণা। ছবি : টিআরটি অ্যারাবিক

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের প্রধান কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফসহ সামরিক পরিষদের শীর্ষ ছয় কমান্ডার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় শহিদ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র আবু উবাইদা এ তথ্য জানান। বার্তাটি টেলিগ্রামে প্রকাশ করা হয়।

আবু উবাইদা জানান, শহিদদের কাতারে শামিল হয়েছেন-

• কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দাইফ (আবু খালেদ)

• কাসসাম ব্রিগেডের উপ-প্রধান মারওয়ান ঈসা (আবু বারাআ)

• অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবা বিভাগের প্রধান গাজী আবু তামা (আবু মূসা)

• মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রায়েদ সাবিত (আবু মোহাম্মদ)

• খান ইউনুস ব্রিগেডের প্রধান – রাফা সালামা (আবু মোহাম্মদ)

এর পাশাপাশি আগেই শহিদ হওয়া আরও দুই কমান্ডারের নাম পুনরায় উল্লেখ করা হয়—

• উত্তর ব্রিগেডের প্রধান আহমদ গানদুর (আবু আনাস)

• মধ্য ব্রিগেডের প্রধান – আইমান নুফল (আবু আহমদ)

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির নিরাপত্তাজনিত সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এবং সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহান নেতাদের শাহাদাত—যদিও এটি বড় ক্ষতি—তবু আমাদের সংগ্রামের শক্তি দুর্বল হবে না। আমাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মনোবল নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে, যা গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।’

আবু উবাইদা আরও জানান, ‘প্রতিটি শহিদের পর আরও হাজার শহিদ জন্ম নেয়। আমাদের কমান্ড কাঠামো কখনো নেতৃত্বশূন্য হয়নি, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও নয়।’ তবে তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি, মোহাম্মদ দেইফ ও ছয় শীর্ষ নেতা ঠিক কবে শহিদ হয়েছেন।

উল্লেখ্য,যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালায়। এতে ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহতের শিকার হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ১৪ হাজারের বেশি মানুষ িএখনো নিখোঁজ রয়েছেন। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীরি এই বর্বর আগ্রসনকে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আমাদের ফলো করুন