গত বছরের ১৭ মে থেকে বুথিডাউং থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এখনো কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি। এবার তারা সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি (এএ) এর হাতে জোরপূর্বক স্থানান্তরের শিকার হচ্ছেন। শুরুতে তাদের বুথিডাউং শহরের কাছাকাছি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। এখন নতুন নির্দেশনায় তাদের শহর থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট দূরের এক গ্রামাঞ্চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এমনকি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত কোন মালামাল নেওয়ার অনুমতিও দেয়নি এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। নতুন জায়গায় গিয়ে তাদের নিজ উদ্যোগে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে তাদের কোন মানবিক সহায়তাও মিলছে না। এমনকি ঠিক কোন স্থানে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি।
তবে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে শ্বে জর, ন্যাউং চাউং ও পান তাও পিন গ্রামের মতো কয়েকটি এলাকায় ফিরে যেতে দেওয়া হলেও মংডু শহরের প্রধান ওয়ার্ডগুলোর রোহিঙ্গাদের ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ড, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, মং নি ওয়ার্ড, লাঠা, মিও ও এবং কাইন দান গ্রাম। অথচ এসব এলাকায় রোহিঙ্গারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
অন্যদিকে রাখাইন ও হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বুথিডাউং শহরে ফিরে যেতে দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি জাতিগত বৈষম্য ও ভূমি দখলের বিষয়টিকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এই পরিকল্পিত বাস্তুচ্যুতি রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। বুথিডাউং ও মংডুর রোহিঙ্গারা আদৌ নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন এখনো অনুত্তরিত হয়ে রয়েছে।
সূত্র: রোহিঙ্গা ভিসন