নিউজনেস্ট

জর্ডান ও মিশর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার দাবি ট্রাম্পের

জর্ডান ও মিশর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার দাবি ট্রাম্পের
জর্ডান ও মিশর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার দাবি ট্রাম্পের। ছবি : আনাদোলু

গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের বিষয়ে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিশ্বাস, এই দুই আরব দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে রাজি হবে। তবে এই দাবির পেছনে বাস্তবতা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, মিশর ও জর্ডান গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করবে। কেউ কেউ বলছে তারা রাজি নয়, কিন্তু আমি মনে করি শেষ পর্যন্ত তারা নেবে।’

ট্রাম্পের মতে, গাজা উপত্যকা এখন বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের টানা ১৬ মাসের হামলায় এলাকাটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা দরকার।

গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি এই প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এমনকি বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (মিশর ও জর্ডান) জন্য অনেক কিছু করছি, তারাও অবশ্যই সহযোগিতা করবে।’

এদিকে ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে এখন পর্যন্ত মিশর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে কায়রো এর আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদকে সমর্থন করবে না। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ সিসি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের নিজভূমি থেকে জোরপূর্বক সরানো হলে আমরা তাতে অংশ নেব না।’

অন্যদিকে জর্ডানের অবস্থান আরও কঠোর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের ধারণা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। গাজার জনগণের উচিত তাদের নিজ ভূমিতেই থাকা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।’

ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ। আরব লীগ, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC), জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক এর তীব্র বিরোধিতা করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অবস্থান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আগামী মার্কিন নির্বাচনে ইসরায়েলপন্থী ভোটারদের সমর্থন পেতেই তিনি এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

গাজার মানবিক সংকট কতটা গভীর হবে, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের ওপর। তবে মিশর ও জর্ডান এখনো ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে তাদের ঐতিহ্যগত অবস্থানেই অনড় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত