আফগানিস্তান কৃষি ও বাণিজ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে প্রায় ২ লাখ ৯৬ হাজার টন তাজা ফল রপ্তানি করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১৪৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
আফগান গণমাধ্যম তোলো নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক, সৌদি আরব ও কানাডা—এই দেশগুলো আফগানিস্তানের তাজা ফলের প্রধান ক্রেতা।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আখুন্দজাদা আব্দুস সালাম জাওয়াদ জানিয়েছেন, এ বছর দেশটি থেকে আপেল, আঙ্গুর, ডালিম, তাজা ডুমুর, অ্যাপ্রিকট, চেরি, তুঁত, তরমুজ ও কালো তুঁতসহ বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তানি হয়েছে। মোট রপ্তানির পরিমাণ ২ লাখ ৯৬ হাজার টন, যা থেকে আয় হয়েছে ১৪৩.১১ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে আফগানিস্তানের কৃষি ও পশুপালন চেম্বার জানিয়েছে, কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে কৃষকদের জন্য বাড়তি সহায়তা এবং খাতের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। সংস্থাটির উপপ্রধান মিরওয়াইস হাজি জাদা বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় বাজারের জন্য মানসম্মত রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে, যাতে জার্মানি, নেদারল্যান্ডসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ আফগানিস্তানের পণ্য গ্রহণ করে।’
অর্থনীতিবিদ আব্দুল জহুর মাদবর মনে করেন, ব্যবসায়ীদের জন্য কর-সুবিধা বাড়ানো হলে রপ্তানি আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘তাজা ফলের রপ্তানি বাড়াতে অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ীদের করমুক্ত সুবিধা দেওয়া উচিত এবং কাস্টমস শুল্ক হ্রাস করা প্রয়োজন।’
তবে আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট জানিয়েছে, পাকিস্তানের সীমান্ত বাণিজ্য পথ বারবার বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের কারণে এ বছর দেশটির মোট রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কৃষকদের আরও সহায়তা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে আফগানিস্তানের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে, যা দেশটির অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
সূত্র: টি এন